রংপুরে দেশীয় মাছ সংরক্ষণে ১১টি অভয়াশ্রম

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
রংপুরের ১১টি স্থানে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। এটির মূল উদ্দেশ্য বিপন্নপ্রায় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ, অবাধ বিচরণ, প্রজনন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সামগ্রিকভাবে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটানো। এ লক্ষ্যে মুক্ত জলাশয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে মাছের উৎপাদন প্রায় ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাভোগীদের মানোন্নয়ন ঘটছে। মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, মৎস্য অভয়াশ্রম একাধারে মাছের আশ্রয়াস্থল ও প্রজননক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ বলে এখানে আশ্রয় নেয়া মাছসমূহ বাড়তে পারে। রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জেলায় মোট ১১টি সরকারি অভয়াশ্রম রয়েছে। এর মধ্যে পীরগঞ্জে ৩টি, মিঠাপুকুরে ২টি এবং ৬ উপজেলায় একটি করে অভয়াশ্রম রয়েছে। এসব অভয়াশ্রমের মোট আয়তন ৮ দশমিক ৫ হেক্টর। মোট সুফলভোগীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০ জন। তিনি জানান, রংপুর জেলায় অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায়, বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির মাছ ভাঙ্গনা, জাত পুঁটি, তিত পুঁটি, চান্দা, কাকিলা, গুচি বাইম, শিং, মাগুর, রানি মাছ, ভেদা, ট্যাংরা ইত্যাদি মাছের পুনর্ভাব ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। \হজলাশয়ের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি অভয়াশ্রমের সুফলভোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।