কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রামে ক্যাবল ব্যবসার বিরোধে হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক আসামি পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত মো. রাসেল (২৩) দর্জি পাড়ার আবুল বাশারের ছেলে। শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম নেয়া হয়েছিল তাকে। শনিবার ভোরে চান্দগাঁও থানার পাঠানিগোদা জেলে পাড়ায় 'বন্দুকযুদ্ধে' রাসেল মারা যান বলে চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল কালাম জানিয়েছেন। ওসি বলেন, 'রাসেলকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে জেলে পাড়ায় আজাদ নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে ধরতে ও অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের পর গুলিবিদ্ধ রাসেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।' ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি, দুটি কিরিচ ও একটি কার্তুজসহ এলজি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন ওসি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চান্দগাঁও পাঠানিগোদা \হসানোয়ারা আবাসিক এলাকার দর্জি পাড়ায় কেবল ব্যবসা নিয়ে বিরোধে খুন হন মো. জিয়াদ (২৩)। তিনি ও তার বড় ভাই জাহেদ ও বিপস্নব ওই এলাকার স্যাটেলাইট টিভির কেবল ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। ওইদিন টাকার দাবিতে কয়েকজন যুবক জাহেদকে মারধর করলে তাদের বাধা দেন জিয়াদ। হামলাকারীরা তখন জিয়াদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। জিয়াদ খুনের ঘটনায় রাসেল, আরমান ও আজাদ নামে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে জিয়াদের পরিবার। তাদের অভিযোগ, রাসেলের ছুরিকাঘাতে খুন হন জিয়াদ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাউজান উপজেলা থেকে আরমানকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্ণীপুরে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফ হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার শাকচরের ভোলা কমিশনারের ফিশারিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে একদল ডাকাত সশস্ত্র অবস্থায় ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় যায় টহল পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে দিকবিদিক ছুটাছুটি করে। এ সময় জীবন বাঁচাতে পুলিশও ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনার সময় সদর থানার এসআই মোতাহার হোসেন ও কনস্টেবল সোহেল রানা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ৩ রাউন্ড গুলি ও দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ লক্ষ্ণীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহত আরিফ স্থানীয় শাকচর গ্রামের বাসিন্দা শুক্কুর আলীর ছেলে। তিনি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালক এবং গত ৪/৫ দিন থেকে নিখোঁজ বলে দাবি করেন স্বজনরা। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাত অনুমান আড়াইটার দিকে একদল ডাকাত সশস্ত্র অবস্থায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে টহল পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় যায়। এ সময় তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ ও পাল্টা গুলি ছুড়লে এক পর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায় পরে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবক ডাকাত সদস্য বলে দাবি করেন ওসি।