অনিকের রাজনীতি শুরু বুয়েটে

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অনিক সরকার
যাযাদি ডেস্ক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ১০ জনের মধ্যে অনিক সরকার ও মেহেদী হাসান রবিনের বাড়ি রাজশাহীতে। দু'জনেই বুয়েটের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অনিক মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর রবিন পবা উপজেলার কাপাসিয়া এলাকার মাকসুদ আলীর ছেলে। সোমবার বুয়েটের ছাত্রাবাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। ফাহাদ হত্যা মামলায় অনিককে তিন নাম্বার ও রবিনকে চার নাম্বার আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও মেহেদী হাসান রবিন বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পরে সংগঠনটি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে, বুয়েট ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে সবচেয়ে বেশি পিটিয়েছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ুয়া অনিক। এ সময়, তিনি মদ্যপ ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনালাপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। অনিকের বাবা আনোয়ার হোসেন সরকার কাপড় ব্যবসায়ী, মা শাহিদা বেগম গৃহিণী। আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) একজন ডিলারও। ফাহাদ হত্যার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অনিকের বাবা-মা। ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বাইরের কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না তারা। রাজশাহী পুলিশ জানায়, অনিকের বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অনিক উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটির কোনো পদে নেই। মূলত বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পরেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়ান তিনি। তবে, অনিকের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ ঘরানার বলে জানান এ ছাত্রলীগ নেতা। গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ফাহাদকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে অনিক-রবিন ছাড়া গ্রেফতার অন্যরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন এবং গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না।