ব্রহ্মান্ডের বিবর্তন তত্ত্বে নতুন দিশা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল তিনজনের

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ব্রহ্মান্ডের বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও ভিনগ্রহ আবিষ্কারের জন্য এবার পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার কু্যয়েলজ্‌। জেমস পিবলসের গবেষণা ব্রহ্মান্ডের বিবর্তন এবং বিগ ব্যাংয়ের ওপর। আর মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার কু্যয়েলজ প্রথম সৌরমন্ডলের বাইরে ভিনগ্রহ খোঁজ দেন। মহাকাশ গবেষণায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হলেন। পুরস্কার মূল্যের অর্ধেক পাচ্ছেন জেমস পিবলস ও বাকি অর্ধেক অংশ দু'ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে মিশেল এবং দিদিয়ার কু্যয়েলজের মধ্যে। দ্য রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস পিবলস (৮৪) ফিজিক্যাল কসমোলজির (সৃষ্টিতত্ত্ব) ওপর তার তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য নোবেল পেলেন। প্রায় দুই দশক ধরে তার গবেষণা ব্রহ্মান্ডকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বুঝতে সাহায্য করেছে। তার তত্ত্ব ব্রহ্মান্ডের গঠন, বিবর্তন ও ইতিহাস- এমনকি বিগ ব্যাংয়ের বিষয়ে আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে। জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশেল মেয়র (৭৭) ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দিদিয়ার কু্যয়েলজ্‌ (৫৩) যৌথভাবে আটের দশকের শেষের দিকে সৌরমন্ডলের বাইরের গ্রহ খোঁজার কাজ শুরু করেন। মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার কু্যয়েলজ্‌ যৌথভাবে গবেষণা করে প্রথম এমন একটি গ্রহ খুঁজে বের করেন যা সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার কু্যয়েলজ্‌ দক্ষিণ ফ্রান্সের হাউট প্রদেশের অবজারভেটরি থেকে সৌর মন্ডলের বাইরে একটি গ্রহ খুঁজে পান। সেই থেকেই সবাই ভিনগ্রহের অস্তিত্ব জানতে পারেন। সালটা ছিল ১৯৯৫। ওই ভিনগ্রহটির নাম দেওয়া হয় '৫১ পেগাসি বি'। গ্রহটি বৃহস্পতি গ্রহের আকারের ছিল। আকাশগঙ্গা ছায়াপথে সেটিও সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছিল। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের পর থেকে আকাশগঙ্গা ছায়াপথে এখনো পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ভিনগ্রহ খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেই গ্রহগুলো নানা আকার ও নানা চরিত্রের। এই বছর জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ার কু্যয়েলজের গবেষণার ফল, ব্রহ্মান্ড সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাই বদলে দিয়েছে। জেমস পিবলসের গবেষণা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, বিগ ব্যাংয়ের পর ব্রহ্মান্ড কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আর মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ার কু্যয়েলজের গবেষণা, এই ব্রহ্মান্ডে ভিনগ্রহগুলো জানতে সাহায্য করেছে।