জগন্নাথে ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার আবরার হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা -বাংলানিউজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ডাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জবি ছাত্রদলের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাটিতে গুরুতর আহত দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদিও আটকদের আবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেড়েও দিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শহিদ মিনার ও ভিসি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জবি শাখা ছাত্রদল সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সমবেত হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে ফাহাদ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহিদ মিনার ও অবকাশ ভবনের সামনে গেলে পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক আলী হাওলাদার, মিজানুর রহমান শরীফ ও জাহিদকে আহত করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। আহতদের পার্শ্ববর্তী সুমনা হাসপাতাল ও ন্যাশনাল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেলে স্থান্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় জবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আলী হাওলাদার ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদকে কোতোয়ালি থানায় আটক করা হলেও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে মেধাবী শিক্ষার্থী ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ। আমরা এর প্রতিবাদে ও ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে নিয়মিত যাওয়ার কর্মসূচি হিসেবে গেলে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা করে। এর তীব্র নিন্দা জানাই। এভাবে জবি ছাত্রদলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কেউ বাধা দিলে এর জবাব ক্যাম্পাসেই দেওয়া হবে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মওদুদ আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রম্নপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হচ্ছিল, তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ছাত্রদলের দুইজনকে আটক করেছি। দুপুরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।