সরকার ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করছে

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রোববার গুলশানে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা -বাংলানিউজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষায় মাঠে নেমেছে। তাই ভীত হয়েই সরকার তাদের দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। রোববার দুপুরে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষে গুলশানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বাস ভবনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশে বাক স্বাধীনতা নেই। যে কারণে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। যার প্রতিবাদে বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছে। তাতে ভীত হয়েই সরকার এখন দলের নেতাকর্মীদের আটক করছে। তিনি বলেন, শনিবার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ থেকে বহু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে অসুস্থ থাকা দলের সিনিয়র নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ সরকার ভারতের সঙ্গে যে চারটি চুক্তি করেছে তার সবই দেশের স্বার্থবিরোধী। এ চুক্তির ফলে ফেনী নদীর পানি ভারত নিয়ে যাবে, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে, বিদেশ থেকে এলপিজি গ্যাস এনে তা ভারতকে দেওয়া হবে, সমুদ্রসীমায় রাডার স্থাপন করবে। সব চুক্তিই ভারতের স্বার্থে করা হয়েছে। সেজন্য তারা এসব চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বার্থে কিছুই আনতে পারেননি উলেস্নখ করে ড. মোশাররফ বলেন, এসব বিষয় নিয়েই বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতি বছরই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের নেত্রী কারাগারে আছেন। আমি আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।' কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বুড্ডিস্ট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের নেতা গৌতম চক্রবর্তী, সুশীল বড়ুয়া, বিপস্নব বড়ুয়া, জিকু বড়ুয়া ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ। কুষ্টিয়ার এসপির অপসারণ দাবি এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত শহীদ আবরারের পরিবারকে নানা কায়দায় জিম্মি করে রেখেছেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন, হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। তার নেতৃত্বেই শহীদ আবরারের পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়ায় আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ড নিয়ে কেউ যাতে টু শব্দটুকু না করতে পারে সেজন্য এসপি হানিফের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছেন। তার কারণে কুষ্টিয়া জেলায় এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ মুহূর্তে কুষ্টিয়ার এসপির ন্যক্কারজনক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাকে কুষ্টিয়া থেকে অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি।' তিনি বলেন, 'কুষ্টিয়ার এসপি যেন মাহবুব-উল আলম হানিফের (আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) নিজস্ব কর্মচারী, আইনের লোক নন। বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়াই যেন এই এসপির একমাত্র কাজ। তিনি বিএনপির কোনো কর্মসূচি কুষ্টিয়ায় হতে দেন না।' সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নজমুল হক নান্নু, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।