পুলিশি বাধায় কামাল-রব মান্নাদের শোকর্ যালি পন্ড

আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় উন্মুক্ত স্থানে বড় আকারে শোকসভার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের 'শোকযাত্রা' পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রোববার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকের্ যালি সহকারে জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় ফটক দিয়ে বেরিয়ে একশ' গজ এগোলেই পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা এসে ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নাকে র্'যালি করা যাবে না' বলে জানান। 'আমরা শোকর্ যালি করব' বলে জবাব আসে তাদের কাছ থেকে। উভয়পক্ষের কথোপকথন চলার মধ্যে ৬ থেকে ৭ মিনিট কালো পতাকা হাতে নেতা-কর্মীর স্স্নোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। ঐক্যফ্রন্টের এ শোকর্ যালি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নিজের গাড়িতে বসের্ যালিতে যোগ দিয়েছিলেন কামাল হোসেন। পুলিশ কর্মসূচি পন্ড করে দেওয়ার পর কামাল হোসেনের গাড়িটি চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শামা ওবায়েদ, জেএসডির তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, লতিফুল বারী হামিম, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম, শহীদুলস্নাহ কায়সার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশি বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রব বলেন, 'এখানে আমাদের শান্তিপূর্ণর্ যালি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আমি বলতে চাই, এখানে আপনারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। সারাদেশের ঘর থেকে বেরুলে রাস্তা বন্ধ করবেন কীভাবে? প্রত্যেকের ঘর থেকে বেরোবে, সব পুলিশ, আর্মি, নেভির ঘর থেকে বেরোবে। তিনি বলেন, 'পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলছি, আপনার ঘরের মা-বোনদের জিজ্ঞাসা করেন তারা বিক্ষুব্ধ কি না? আমরা এভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণর্ যালি চলার পথ বন্ধ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।' র্ যালি শুরুর আগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সমাবেশে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান আবরার হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় উন্মুক্ত স্থানে বড় আকারে শোকসভার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'আমরা ১৮ তারিখে ঢাকা মহানগরের প্রকাশ্য কোনো জায়গায় আবরারের মৃতু্যতে জাতীয় শোকসভা করব। এটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হতে পারে, এটা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হতে পারে। আমরা সভার জন্য অনুমতি চাইব। আমরা সভা করতে চাই।' তিনি বলেন, 'আপনারা নিজেদের যা যা মাধ্যম আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে, ঢাকা মহানগরের কোটি কোটি মানুষ আছে তাদের প্রত্যেকের কাছে খবর দিতে হবে ১৮ তারিখে ঢাকা মহানগরে জাতীয় শোকসভা হবে। এটাই আমাদের প্রধান কর্মসূচি।' একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত বছর ১৩ অক্টোবর বিএনপিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল নিয়ে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। এদিন ঐক্যফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা হওয়ার কথা থাকলেও আবরার হত্যাকান্ডের ঘটনায় তা বাদ দিয়ে এ শোকর্ যালির কর্মসূচি নিয়েছিল তারা।