বর্ষার বিদায়, আগামী ডিসেম্বরেই শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট প্রায় সাড়ে চার মাস বৃষ্টি-বাদল ঝরিয়ে বর্ষাকাল তথা মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়া শুরু করেছে। বর্ষার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে শুষ্ক হতে শুরু করেছে প্রকৃতি। সাত সকালে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু সূর্যের আলোর ঝিলিক, আর স্বচ্ছ আকাশে সাদা মেঘের ভেলা জানান দিচ্ছে শরৎকালের আবির্ভাব। আর শরতের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ দেখা দিচ্ছে। অক্টোবরজুড়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও নভেম্বর থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে ডিসেম্বরে ১-২টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ থেকে বিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। আর তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। এদিন সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে গত ৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক সর্বোচ্চ ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে। এক মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, অক্টোবরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ১-২টি নিম্নচাপ এবং এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় রূপ নিতে পারে। তৃতীয় সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানায়, জুন মাসের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা বিস্তার লাভ করে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে বর্ষাকালে (আষাঢ়-শ্রাবণ) প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। তবে এই বছরে দুযোগপূর্ণ সময় পার করেছে মে মাস। ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' মে মাসে অতি প্রবলরূপে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে। বাংলাদেশে তেমন ক্ষতি না হলেও সারা দেশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়। ১০ ও ১১ মে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ডিসেম্বরে শেষ রাতের দিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।