প্রকৌশলী থেকে জঙ্গি

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নব্য জেএমবির দুই সদস্য মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুলস্নাহ আজমিরকে আটক করে পুলিশ। ছবিটি মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেল থেকে তোলা -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র ছিলেন মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুলস্নাহ আজমির। তারা দুজনই সেখান থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে প্রকৌশলী হলেও মেহেদী ও আজমির পেশাগত জীবন বেছে নেননি। জড়িয়ে পড়েন জঙ্গি কর্মকান্ডে। নব্য জেএমবির সদস্য হয়ে সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে আইইডি হামলা চালিয়েছিলেন তারা। সোমবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয় মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুলস্নাহ আজমিরকে। রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টারে এই ব্রিফিংয়ে মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মেহেদী ও আজমিরকে রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তারা নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। কুয়েটে পড়ার সময়ই তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে যান। ২০১৮ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে তারা ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেন। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করেন (ফরিদ উদ্দিন রুমিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্না থেকে গ্রেপ্তার করা হয়)। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ফতুলস্না থানাধীন রফিকের বাসায় বোমা তৈরির একটি কারখানা তৈরি করেন। গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবে বোমা (আইইডি) হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন তারা। এছাড়া মালিবাগ, পল্টন ও খামারবাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে বন্ধু রফিককে সহায়তা করেন। মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর বোমা (আইইডি) হামলা হয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুলস্না থানার তক্কার মোড়ে পরিচালিত জঙ্গিবিরোধী অভিযানস্থলে তারা নিয়মিত শলাপরামর্শ করাসহ বিভিন্ন ধরনের বোমার (আইইডি) উৎকর্ষ সাধনে তৎপর ছিলেন। তাদের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আজ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।