খুলনায় দসু্যপ্রধানসহ ৪ জন

তিন জেলায় 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ৬

সুন্দরবনের্ যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দসু্য বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন, হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' কুদরত আলী নামে এক ডাকাত, লক্ষ্ণীপুরে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলি বিনিময়কালে ইলিয়াস নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবন, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং লক্ষ্ণীপুর সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ছয়জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় দসু্য বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন, হবিগঞ্জে একজন ও লক্ষ্ণীপুর একজন নিহত হয়। মঙ্গলবার ভোর ও সকালে এসব 'বন্দুকযুদ্ধে'র ঘটনা ঘটে। খুলনা : সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব-৬) সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দসু্য বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চারজন নিহত হয়েছে। এ সময় সৌরভ ও নাহিদ নামের্ যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। র্ যাব ৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। র্ যাব ৬-এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফাজ্জেল হোসেন জানান, সকালের্ যাবের একটি দল নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় দসু্য আমিনুর বাহিনীর সদস্যরার্ যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থের্ যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আমিনুর বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তলস্নাশি করে চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা এবং কিছু তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, স্থানীয় দুই জেলে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দসু্য বাহিনীর প্রধান আমিনুর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিককে শনাক্ত করেছেন। মরদেহগুলো কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে রাখা হয়েছে। হবিগঞ্জ : ভোরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত কুদরত আলী (৪০) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, কুদরতসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী পুরাসুন্ধা বাঁশ বাগান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের ওসি মানিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই ডাকাত কুদরত মারা যায়। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের এসআই আবুল কালাম ও মোজাম্মেল হক এবং কনস্টেবল রনি ও জয়নুল হক আহত হয়েছেন। তারা হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। নিহত কুদরতের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান ওসি মোজাম্মেল। লক্ষ্ণীপুর : গতকাল ভোরে লক্ষ্ণীপুর সদর উপজেলার বকুলতলা এলাকা দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলি বিনিময়কালে ইলিয়াস (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাতে উপজেলার বকুলতলা এলাকায় গুলির শব্দ শুনে টহলরত পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলি বিনিময়কালে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি আবুল কালাম।