জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

আন্দোলনকারীদের পদযাত্রা, ভিসিপন্থিদের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জাবি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর' নামের নতুন ব্যানারে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে আন্দোলনকারীদের পদযাত্রাটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ও ভবন প্রদক্ষিণ করে পুরনো রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ওই সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক রাইয়ান রাইন বলেন, 'আমরা আচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে, কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আচার্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। আপনারা দেখেছেন আমরা যখন আচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ এর বিরুদ্ধে উত্তর দেয়। আমরা বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কাজ কী? উপাচার্যের দুর্নীতির সাফাই গাওয়া তাদের কাজ হতে পারে না।' সমাবেশে জাবি ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, 'উপাচার্যের সীমাহীন দুর্নীতি বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষিত করেছে। ছাত্রলীগের একজন নেতা স্বীকার করেছেন তাকে উপাচার্য ২৫ লাখ টাকা ঈদ সালামি দিয়েছেন। আমরা এমন দুর্নীতিবাজ এবং অথর্ব উপাচার্যের অপসারণের জন্য রাষ্ট্রের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।' এ সময় সমাবেশ থেকে ১৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। এদিকে, চলমান আন্দোলন অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক উলেস্নখ করে আন্দোলনকে প্রতিহত করতে 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে মাঠে নেমেছে ভিসিপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ পস্নাটফর্মের ঘোষণা দেয়া হয়। এতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুনকে সমন্বয়ক এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আলমগীর কবিরকে মুখপাত্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করে ৪১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি মেনে নেওয়ার পরও হঠাৎ কিছু স্বার্থান্বেষী চিহ্নিত শিক্ষক এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি কথিত অডিও বার্তার নাটক সাজিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সময় এসেছে দৃঢ়ভাবে ষড়যন্ত্রমূলক যে কোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।' এ সময় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকে ষড়যন্ত্রমূলক উলেস্নখ করে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে তিনদিনের আন্দোলনবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলো হলো- ১৬ অক্টোবর মৌনমিছিল ও সংহতি সমাবেশ, ১৭ অক্টোবর শহীদ মিনার পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং ২২ অক্টোবর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ।