রাবি শিক্ষার্থীর মাথায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ফিরোজ নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, নগরীর তালাইমারী এলাকার জাহিদের ছেলে রুবেল হোসেন (২৪) এবং শিরোইলের স্থানীয় ছবির হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। অন্যদিকে ভুক্তভোগী অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টায় নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাস্তার দু'পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। এর পরপরই সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও অন্য সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন তারা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে টানা-হেঁচড়ার ঘটনাও ঘটে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত আটটার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান মাঠের তাল গাছের নিচে ফিরোজ ও সঙ্গে থাকা একটি মেয়ের সঙ্গে বাকবিতন্ডা করে কয়েকজন যুবক। একপর্যায়ে ছুরি দেখিয়ে মানিব্যাগ, টাকাসহ সবকিছু দিতে বলে। এতে অস্বীকৃতি জানালে মাথায় ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে সঙ্গে থাকা মেয়েটি চিৎকার শুরে করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দ্রম্নত মোটর সাইকেলে মাদার বখশ হলের সামনে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রামেকে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে থাকা মেয়েটি ফিরোজের স্ত্রী। তার বাড়ি রংপুর। একই কলেজে পড়াশোনা করেছেন। শনিবারও উত্তাল ক্যাম্পাস ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার দুপুরেও রংপুরের বদরগঞ্জ থানা, শাখা ছাত্রলীগ, সাধারণ শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথক ব্যানারে মানববন্ধন করেছে। পরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঞ্চালনায় শাখা সভাপতি গোলাম কিবরিয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানান তারা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, হাবিবুলস্নাহ নিক্সন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান নাহিদ প্রমুখ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী জখমের পর থেকে কয়েক স্তরে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবের্ যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে এবং টহল অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং দ্রম্নত বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানান তিনি।