মেট্রোরেলের কারণে অযথা সড়ক বন্ধ করা যাবে না

আইনশৃঙ্খলা মন্ত্রিসভা কমিটির নির্দেশ

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর যানজট নিরসন ও ভোগান্তি এড়াতে অযথা সড়ক বন্ধ না রাখতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, আমরা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যেখানে কাজ শেষ হবে, সেটা যেন সঙ্গে সঙ্গে খালি করে দেওয়া হয়। যতদিন কাজ শুরু না করা হয়, ততদিন যেন রাস্তা বন্ধ না হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, তিন-চার মাস আগে থেকেই বেড়া দিয়ে রাখা; কিন্তু কাজ এখনো শুরু হয়নি। কাজ শুরু হওয়ার পর রাস্তা বন্ধ করুক, অযথা যেন বন্ধ রাখা না হয়। রাজধানীর যানজট নিরসন ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রম্নততর ও নির্বিঘ্ন করতে উত্তরার ডিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ চলছে। ২০১২ সালে গৃহীত মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে মোট ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ছয়টি করে কোচ। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে যাত্রী নিয়ে ছুটবে এসব ট্রেন। উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ২০২১ সালে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঢাকা শহরের ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বাড়িওয়ালাদের কাছে অনেক সময় সঠিক ঠিকানা না থাকায় অপরাধ করে পার পেয়ে যায় ভাড়াটিয়ারা। এটা বন্ধে প্রত্যেক বাড়ির মালিক যেন ভাড়াটিয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে পরিচয় নিশ্চিত করে ভাড়া দেয়, সে ব্যাপারে ঢাকা মহানগর মেট্রো পুলিশকে বলা হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনকেও আমরা অনুরোধ করেছি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য। সভায় জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সম্পূর্ণরূপে সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিটি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে মাদক, জঙ্গি ও নারী নির্যাতনবিরোধী গণসচেতনতা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর রয়েছে, যেন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে কেউ মাদক বহন করতে না পারে।