সরকার শিক্ষাকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা খাতকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিতেন বলেই প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিনি জাতীয়করণ করেছিলেন। এ কারণে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নবজাগরণ ঘটে। প্রধানমন্ত্রীও শিক্ষাকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদে অথৈর্নতিকভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুরুত্ব পেলেও তিনি শিক্ষাকে প্রথম স্থানে রেখেছেন।’ শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন উদ্যোগে শহরতলির বদরপুরের আফসানা মঞ্জিল চত্বরে ‘সাবর্জনীন ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষক সমাজের করণীয়’ শীষর্ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মানসম্পন্ন শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের ভ‚মিকা অপরিসীম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতি গঠনের কারিগর হলেন শিক্ষক। এই শিক্ষকের সক্রিয়তায় দেশে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, আপনাদের নিঃস্বাথর্ চেষ্টা, বুদ্ধি দিয়ে, দলীয়করণের বাইরে থেকে শিক্ষা প্রসারে যেভাবে কাজ করে চলেছেন তাতে এ জাতিকে কেউ আর কোনো দিন দাবিয়ে রাখতে পারবে না। নারী-পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে সভায় সবার উপস্থিতি প্রমাণ করে দেশে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য নেই উল্লেখ করে এবং জাতিসংঘের জেন্ডার বিষয়ক কমিটিকে এদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেখে যান আমরা সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ফরিদপুরের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও অবস্থান খুবই শক্তিশালী। সেই ভারতবষর্ থেকেই ফরিদপুর রাজনৈতিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বতর্মানেও ফরিদপুর সফলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রীপুত্র ও প্রধানমন্ত্রীর জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর প্রমুখ। ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. এরাদুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন কলেজ শিক্ষকদের পক্ষে প্রভাষক আইয়ুব আলী শেখ, মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষে মনিরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে মোশের্দা নাগির্স এবং মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষে অধ্যক্ষ কাউছার উদ্দিন প্রমুখ। সভায় সদর উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।