খালেদার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হওয়ার উপক্রম : ফখরুল

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -যাযাদি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া এখন এত অসুস্থ যে তিনি নিজে হাতে ধরে কিছুই খেতে পারেন না। তাকে সাহায্য করে খাইয়ে দিতে হয়। তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। এমনকি বিছানা থেকেও দুজনে সাহায্য করে তাকে উপরে তুলতে হয়। অথচ সরকারের যে মদদপুষ্ট হাসপাতাল সেখানে ডিরেক্টর বলেন তিনি আগের চেয়ে সুস্থ। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে এ যে মিথ্যার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এর জন্য তার বিচার হওয়া উচিত। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, 'খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট তারা দিয়েছেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা এখান থেকে স্পষ্টভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।' বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন, সম্পূর্ণ ম্যান্ডেটবিহীন একটা সরকার। এ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার মানে হচ্ছে জনগণের সর্বনাশ করা। তিনি বলেন, 'আজকে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষ চাল কিনে খেতে পারছে না অথচ গ্রামে যান কৃষকরা বলবে আমরা ধানের দাম পাচ্ছিনা ৩০০ টাকা ৪০০ টাকা। অথচ চাল কিন্তু ৫০ টাকা ৬০ টাকার নিচে নেই।' তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। তাই আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে একত্রিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।' প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারত সফরে গেলেন আমরা আশা করেছিলাম সেখানে আমাদের তিস্তা নিয়ে চুক্তিগুলো সম্পন্ন হবে এবং আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা পাব। কিন্তু তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি চুক্তি হয়নি অথচ অন্যদিকে আমার ফেনী নদীর পানি তাদের দেওয়ার জন্য চুক্তি করে এসেছেন। আজকে গ্যাস আমদানি করে আগরতলাতে পাঠানো হচ্ছে অর্থাৎ আমদানি করে রপ্তানি করা হচ্ছে। জনগণ এত বোকা নয় যে বুঝতে পারবে না।' তিনি বলেন, 'আজকে বঙ্গোপসাগরে রাডার লাগানো হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ভারত সেরা দলগুলো বসাবে এবং তারা পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছি এবং আবারও চাই। তাদের এ চুক্তিগুলোর পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা হচ্ছে কি-না আমরা এ বিষয়ে সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাধারণ সম্পাদক এম আবদুলস্নাহ, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।