দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হাসেম

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এমএ হাসেম
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক বছর পর আবারও দুর্নীতি দমন কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন পারটেক্স গ্রম্নপের চেয়ারম্যান এমএ হাসেম। বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টায় ঢাকার সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হলে দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোশারফ হোসেইন মৃধা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। অভিযোগের বিষয়ে হাসেম সাংবাদিকদের কিছু বলতে রাজি হননি। কমিশনের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর তার ছবি তোলার সময় আলোকচিত্র সাংবাদিকদের তা প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন তিনি। হাসেমের ছেলে আম্বার গ্রম্নপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলকে দুই বছর আগে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক রাসেল পরে জামিনে ছাড়া পান। তখন তার আরেক ছেলে আশফাক আজিজ রুবেলকেও তলব করেছিল দুদক। হাসেম ও তার দুই ছেলেকে এর আগে চিনি আমদানিতে দুর্নীতির একটি অভিযোগে ২০১৪ সালে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর হাসেমকে ডেকে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ওইদিনও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তিনি। হাসেমের বিরুদ্ধে 'রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখলসহ দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার' অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে। এছাড়া পারটেক্স গ্রম্নপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে নথিতে বেশি দাম দেখিয়ে তিনি শত শত কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করা হাসেম গত পাঁচ দশকে তার বাণিজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন আবাসন, আমদানি-রপ্তানি, পার্টিকেল বোর্ড, ইস্পাত, পস্নাস্টিক, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন খাতে। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং নোয়াখালী-২ (বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সরকারের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা চলে যায় সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। আরও অনেক ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদের মতো হাসেমও তখন গ্রেপ্তার হন। পরের বছর জামিনে মুক্তির পর বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই ব?্যবসায়ী। প্রায় আট বছর রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৬ সালে বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে তিনি পদত?্যাগের কথা জানান। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হাসেম এক সময় সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। হাসেমের ছেলে আজিজ আল কায়সার এখন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান।