রাজশাহীতে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত, গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাজশাহীতে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন; এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, বুধবার রাতে নগরের শিরোইল কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত হোসেন রাসেল (৩০) নগরীর বাস্তুহারা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি মহানগর যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজার ভাই ছিলেন। এ ঘটনায় নগরীর চন্দ্রিমা থানায় রাসেলের আরেক ভাই মনোয়ার হোসেন রনি বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উলেস্নখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়সহ ২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরীরর শিরোইল কলোনি এলাকার বুলবুল হোসেনের ছেলে আসামি রাব্বি (২৫), জয়নালের ছেলে বাপ্পি (১৯), নূর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে শাহিন (২৪), মানিকের ছেলে শুভ (২১), বাবু ইসলামের ছেলে চঞ্চল (১৯), জালাল উদ্দিনের ছেলে কলাম উদ্দিন (১৯) ও আবুল কালাম চৌধুরীর ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম অভ্র (১৯)। ওসি বলেন, রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নগরের বোয়ালিয়া থানা রাজার ভাইয়ের সঙ্গে মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বুধবার দুপুরে রেল ভবনের সামনে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। 'এ সময় রাসেলসহ পাঁচজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাসেল মারা যান।' ওসি বলেন, গ্রেপ্তার সাতজন সৈনিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।