দুবাই এয়ার শোতে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বিডি নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে দুবাই এয়ার শো'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন -ফোকাস বাংলা
বিশ্বের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উড়োজাহাজ প্রদর্শনী দুবাই এয়ার শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে (ডিডবিস্নউসি) পাঁচ দিনের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনের পর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজ উড্ডয়ন প্রদর্শনী উপভোগ করেন। ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর দুবাইয়ের আকাশে দ্বিবার্ষিক এই উড়োজাহাজ মেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের ৮৭ হাজার অংশগ্রহণকারী ও এক হাজার ৩০০ এক্সিবিটর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় আবুধাবির হোটেল শাংরি-লায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরানের নৈশভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা। দুবাই এয়ার শোসহ আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চারদিনের সরকারি সফরে শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে উপসাগরীয় এ দেশটি সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দুবাইয়ের হোটেল শাংরি-লায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুবাই সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুবাই সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এগুলোর দুটি হচ্ছে- দুই দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি ও দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি এবং আরব আমিরাতের দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবন নির্মাণে জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রটোকল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৮ নভেম্বর আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী দুবাইয়ের শাসক ছাড়াও আবুধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ বিন জায়ের আল নাহিয়ান এবং ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারওমেন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগকারী গ্রম্নপ ও ব্যবসায়ীদের বৈঠকের কথা রয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সফর বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে এবং দুই দেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চারদিনের আমিরাত সফর শেষে ১৯ নভেম্বর রাতে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।