২৬ নভেম্বরের মধ্যে যুবদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে দিলেও এবার আর যুবদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য সময় বাড়াতে চায় না বিএনপির হাইকমান্ড। আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে যুবদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কমিটি দিতে না পারলে আংশিক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গত কারণে এবারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষণা হবে বলে যুবদলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিশ্চিত করেছেন। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি আর সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এক মাসের সময়সীমা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় অনুমোদনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্বে মতপার্থক্যের কারণে ২ বছর ১০ মাসেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখে পুরো দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। সঙ্গত কারণে গত তিন মাস আগে থেকেই সুপার ফাইভ নেতাদের কমিটি গঠনের জন্য চাপ দিচ্ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে কমিটি গঠনের জন্য প্রাথমিক সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ব্যর্থ হওয়ার পর আবার ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন সুপার ফাইভ নেতারা। এবার আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি করার চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। না পারলে নতুন কমিটি করার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় এ সময়ের মধ্যে কমিটি হচ্ছে তা প্রায় নিশ্চিত। বারবার সময় বেঁধে দেওয়ার পরও কমিটি গঠন বিলম্ব হওয়ার কারণগুলো প্রসঙ্গে যুবদল সূত্রগুলো জানায়, মূলত কমিটি গঠনে শীর্ষ দুই নেতার মতপার্থক্যের কারণে নির্ধারিত সময়ে কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। যুবদলের শীর্ষ দুই নেতা সাইফুল আলম নীরব ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মতপার্থক্যে সংগঠনের নিয়মিত বৈঠকও হয়নি। নীরব চেয়েছেন সংগঠনে যুবনেতা বেশি যুক্ত করতে। আর টুকু চাওয়া হচ্ছে, কমিটিতে বেশি সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রাধান্য থাকুক। এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ পাঁচ নেতাও একরকম দুই ভাগে বিভক্ত। এরপরও হাইকমান্ডের চাপে চলতি মাসের শুরুতেই ২৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি তালিকা প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিল যুবদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। কিন্তু দলের প্রভাবশালী এক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের তদবিরে একটি পদ নিয়ে নতুন সমস্যা দেখা দেয়। প্রভাবশালী ওই সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজাকার কমান্ডার পলাতক ফাঁসির আসামি জাহিদ হোসেন খোকনের বড় ছেলে খায়রুজ্জামান লিংকনকে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু সুপার ফাইভের সব নেতা রাজাকার পুত্রের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি মেনে নেয়নি। ফলে কমিটি ঘোষণার বিষয়টি থমকে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীর ছেলেকে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির খবরে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাও নাখোস। কিন্তু এদিকে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কমিটি গঠনে রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি। সঙ্গত কারণেই এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হাইকমান্ডের মতকেই শুধু প্রাধান্য দেবে সুপার ফাইভ নেতারা। এরপরই নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করবে। কমিটি ঘোষণাসহ বর্তমান কমিটির অবস্থা প্রসঙ্গে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, যুবদলের ৮২টি সাংগঠনিক জেলার সব কটির কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। দ্রম্নত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটি হবে ২৭১ সদস্যের।