সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আইএসপিআর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীপ্রধান এডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক -বাসস
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে দেশের সব সেনানিবাস, নৌ-ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদগুলোতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে পৃথক পৃথকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে শহীদদের স্মরণে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছলে তাদের স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধানরা এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীপ্রধান এডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে গমন করেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং মহাপরিচালকরা। সেনাবাহিনীপ্রধান, নৌবাহিনীপ্রধান ও বিমান বাহিনীপ্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আর্মি মাল্টিপারপাস কমপেস্নক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্ধারিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। তিনি তাদের হাতে সম্মানী চেক এবং উপহার তুলে দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৯ জন সেনা, ২ জন নৌ এবং \হ৩ জন বিমানবাহিনী সদস্যদের ২০১৮-১৯ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হয়। ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকট আত্মীয়সহ প্রায় ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীরা সংবর্ধনায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আরসিডিএস, পিএসসি (অব.), সেনাবাহিনীপ্রধান, নৌবাহিনীপ্রধান, বিমানবাহিনীপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হন। এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীপ্রধান, নৌবাহিনীপ্রধান ও বিমানবাহিনীপ্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল নৌবাহিনীপ্রধান নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। এছাড়া বিমানবাহিনীপ্রধান ২২ নভেম্বর বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনীপ্রধান ২৫ নভেম্বর সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাদের পরিবারের সম্মানার্থে পৃথক পৃথক সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।