আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
ওই হত্যাকান্ড তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, 'আমরা তদন্ত প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। এরপর ডিসিপিস্ননারি বোর্ড গত তিন দিন বৈঠক করে। বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে ২৬ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২৫ জন আবরার হত্যাকান্ডের অভিযোগপত্রের আসামি।
ওই ২৬ জনের বাইরে আরও ছয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চিরতরে বহিষ্কৃতরা : বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিলস্নাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সেস, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল) এবং মোর্শেদ-উজ জামান মন্ডল।
