জানুয়ারিতে বিদু্যৎ বিতরণ ব্যয় ৪৯% বৃদ্ধির প্রস্তাব

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদু্যতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে অংশ নেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বিদু্যৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টাপ্রতি (কি.ও.ঘ) ৪৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদু্যতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বিদু্যৎ বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির এ প্রস্তাব করা হয়। ডিপিডিসি ২০২০ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর বিদু্যৎ বিতরণ ব্যয় কিলোওয়াট ঘণ্টাপ্রতি ১.২৪ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ০.৮৭ টাকা করার কথা বলেছে। এর আগে ২০১৭ সালে প্রদত্ত মূল্যহারে বিদু্যতের নিট বিতরণ ব্যয় ছিল ০.৮৩ টাকা। ডিপিডিসির এ প্রস্তাবনার ফলে বিদু্যৎ বিতরণ ব্যয় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলো। বিদু্যতের বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ডিপিডিসি উলেস্নখ করে, অপচয় ও সম্পদের পরিবৃদ্ধি; জনবল, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উলেস্নখ করেছে। গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দ্বায়িত্ব পালন করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এছাড়াও জুরি বোর্ডে ছিলেন কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান এবং মাহমুদউল হক ভূঁইয়া। বিদু্যতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে জেরা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কনজু্যমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিকিউরিটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহানুর সরকার, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। জেরা পর্বের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডিপিডিসির চেয়ারম্যান বিকাশ দেওয়ানসহ অন্যান্য সদস্য এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উপব্যবস্থাপক (ট্যারিফ) কামরুজ্জামান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ঢাকা ইলেকট্রিক সাপস্নাই কোম্পানির (ডেসকো) বিদু্যতের মূল্যহার পরিবর্তনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।