খুচরায়ও বিদু্যতের দাম বাড়ানোর পক্ষে বাপবিবো

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিদু্যতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি করা হলে, খুচরায়ও বিদু্যতের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি করা সমীচীন বলে প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদু্যতের মূল্যহার পরিবর্তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে এই প্রস্তাব করা হয়। বাংলাদেশ পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি (পবিস) খুচরা বিদু্যতের মূল্যহার পরিবর্তনের আবেদনের প্রতিবেদনে উলেস্নখ করেন, পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির ২০২০ সালের বিতরণ চাহিদা ৫৪ হাজার ১৪০ লাখ টাকা এবং সম্ভাব্য ৩৫ হাজার ৮১৯ লাখ ইউনিট বিদু্যৎ বিক্রয়ের বিতরণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রতি ইউনিট ১.৫১ টাকা। ২০১৭ সালে কমিশনের বিতরণ ব্যয় প্রতি ইউনিট নির্ধারণ করা হয়েছিল ১.৬৩ টাকা। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিদু্যৎ বিতরণ ব্যয় প্রতি ইউনিট হয়েছে ১.৫৪ টাকা। বাপবিবো তাদের আবেদনের সরাসরি বিদু্যতের মূল্যবৃদ্ধি কথা না বললেও, পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তার সঙ্গে সিস্টেম লস যোগ করে, খুচরা বিদু্যৎ বিক্রয় মূল্য হার বৃদ্ধি করা উচিত। এ ছাড়া পাইকারি ও খুচরা বিদু্যৎ মূল্যহার পরিবর্তন একই সময়ে কার্যকর করা প্রয়োজন। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বাংলাদেশ পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৮০টি পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি নো-লস, নো-প্রফিট বিবেচনায় ২০২০ সালে পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির বিতরণ চাহিদা প্রতি ইউনিট ১.৪৫ টাকার প্রস্তাব করেছে। গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দায়িত্ব পালন করছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এ ছাড়া জুরি বোর্ডে ছিলেন কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান এবং মাহমুদউল হক ভূঁইয়া। বিদু্যতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে জেরা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কনজু্যমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) উপদেষ্টা জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিকিউরিটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহানুর সরকার, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।