ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল বারীকে সতর্ক হাইকোর্টের

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন ভুল আর করবেন না বলে প্রতিশ্রম্নতি দেয়ার পর আদালত তাকে সতর্ক করে অব্যাহতি দিয়েছেন। ব্যাখ্যায় বিচারক মো. রফিকুল বারী আদালতকে জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ বুঝতে না পারায় এমনটা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না। পরে আদালত ওই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার স্বশরীরে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আজ বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অন্যপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আতিকুর রহমান। ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন জানান, বিচারক মো. রফিকুল বারী আদালতকে বলেছেন, উচ্চ আদালতের আদেশ বুঝতে না পারায় এমনটা হয়েছে। পরে আদালত তাকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। এর আগে গত ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল বারীকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ জুন আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর পিতা ৯ নং চৌদ্দশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার কাছে মো. আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মো. জুবায়েরসহ ১৩ জন চাঁদা না পেয়ে হামলা করে। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী লড়বেন না। মামলার ১ থেকে ১১ নম্বর আসামিকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এছাড়া ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এরপরও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক মো. রফিকুল বারী। বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আসলে তাকে তলব করা হয়।