কুয়াশা ভেদ করে জারবেরার উঁকি

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৩৮

যাযাদি ডেস্ক
জারবেরা ফুল

মাগুরায় শীতের সকালে প্রকৃতি যখন কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকে তখন বাগানে উঁকি দেয় জারবেরা ফুল। লাল, হলুদ, সাদা, গাঢ় লাল রঙের এসব বাহারি ফুল বাড়িয়ে দেয় প্রকৃতির সৌন্দর্যও। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে ফুলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তাই ফুল উৎপাদনে বেশি সময় ব্যয় করছেন চাষিরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা ফুলের বাগানে কাজ করছেন একটু বাড়তি লাভের আশায়। বিদেশি এ ফুলের বাগান গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাগুরা পৌর এলাকার বেলনগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মফিজ শেখ। তার সফলতা দেখে গ্রামের প্রায় ১৫ জন বেকার যুবক এ ফুল চাষ করে তাদের ভাগ্য বদল করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এ ফুলের দেশের মোট চাহিদার বড় অংশের জোগান দেয় বেলনগর গ্রাম। যা নীরবে অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই একর জমিতে গড়া মফিজ শেখ জারবেরা ও গস্নাডিওলাস ফুলের বাগান। বাগানের দুই পাশে নানা রঙের ফুলে ফুলে উড়ছে রঙিন প্রজাপতিও। মফিজ শেখ বলেন, সাত থেকে আট বছর ধরে এ ফুলের চাষ করছি। বিয়ে, জন্মদিন, পহেলা বৈশাখ, জাতীয় অনুষ্ঠান, বড়দিন, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, নতুন বছরে আগমন, নববর্ষসহ সব উৎসবে এ ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে এ ফুল বিক্রি করি। প্রতি হাজার ফুল ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। আবার ১০০টি করে জারবেরা ফুলের তোড়া বেঁধে ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। তার ফুলের বাগানে আটজন শ্রমিক কাজ করেন। বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভোর থেকে বাগানেই কেটে জারবেরা ফুলের তোড়া বাঁধেন তারা। বিকেল ৫টায় বাজারজাতকরণ পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে পান ওই শ্রমিকরা। বেলনগর দক্ষিণপাড়ার বারাশিয়া গ্রামের যুবক কাশেম মোলস্না বলেন, মফিজ শেখের সফলতা দেখে গ্রামের অনেক যুবক ফুল চাষ শুরু করেছেন। আমিও ব্যবসার পাশাপাশি ফুল চাষ করব। ফুল চাষ দেখে এ বছর স্থানীয় কৃষকদেরও আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। মাগুরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল আমিন বলেন, বেলনগরে বাণিজ্যিকভাবে জারবেরা ফুলের চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন মফিজ শেখ। তাকে দেখে আরও অনেক যুবক এগিয়ে এসেছেন। ফুল চাষ করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরও সচল রাখছেন তারা। সত্যি মফিজ শেখ প্রশংসার দাবি রাখেন। আমরা তাকে সঠিক পরামর্শ ও বিভিন্ন সহযোগিতা করছি।