মাতৃজ্ঞানে ছাত্রদের মুক্তি দিন প্রধানমন্ত্রীকে এরশাদ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিতে পথে নেমে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের ‘নিঃশতর্’ মুক্তি দিতে সরকারপ্রধানের প্রতি ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন জাতীয় পাটির্র চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মঙ্গলবার জাতীয় পাটির্র পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাতৃজ্ঞানে’ শিক্ষাথীের্দর মুক্তি দিয়ে ‘মহানুভবতা’ দেখাবেন বলে আশা করছেন এরশাদ। তবে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে যারা ‘ভিন্ন খাতে’ প্রবাহিত করতে চেয়েছে- তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করেছেন তিনি। বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে মায়ের সমান। তিনিও যথাথর্ উপলব্ধি করে বলেছেন, আমাদের সন্তানরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি মাতৃজ্ঞানে কোনো কালবিলম্ব না করে ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছেন। তার এই মহানুভবতাকে সম্মান দেখিয়ে হলেও গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের মুক্তি দেয়া উচিত।’ নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসা শিক্ষাথীর্রা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘষের্ জড়ায়। এসব ঘটনায় বহু শিক্ষাথীের্ক আটক করে মামলা দেয় পুলিশ। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জনকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করে। বিভিন্ন সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই শিক্ষাথীের্দর মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্রা নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে গ্রেপ্তার শিক্ষাথীের্দর জন্য সাধারণ ক্ষমার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাদের ‘না’ বলে দেন। বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘এদেশের সবর্স্তরের মানুষ এবং দলমত নিবিের্শষে যে ছাত্রদের অভিনন্দন জানিয়েছে- এখন তাদের মধ্যে আর কাউকে গ্রেপ্তার করে রাখা ঠিক হবে না।’ শিক্ষাথীের্দর ওই আন্দোলনকে ‘সফল এবং যৌক্তিক’ হিসেবে বণর্না করে এরশাদ বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্যে কোথাও কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। তার মধ্যে কোনো কোনো আন্দোলনকারী ছাত্র অবুঝের মতো হয়তো নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু যখন তাদের ঘরে এবং ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে- তখন তারা রাস্তা থেকে ফিরেও গেছে। আমি নিজেও বিবৃতি দিয়ে ছাত্রদের ঘরে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছি। “এখানে কেউ যদি কোনো ভুল করে থাকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন তাদের মাতৃজ্ঞানে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।”