কক্সবাজার ও ঢাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কক্সবাজারের রামুর পানেরছড়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুই মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। আর ঢাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণ। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. মেহেদী হাসান বলছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) পানেরছড়া এলাকায় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাদের গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে না পারলেও র‌্যাব বলছে, তারা মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। মেজর মেহেদী বলেন, মঙ্গলবার সকালে পানেরছড়া এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করছিল র‌্যাবের একটি দল। এর মধ্যে টেকনাফের দিক থেকে একটি তেলবাহী ভ্যান এলে র‌্যাব থামার সংকেত দেয়। ‘কিন্তু চালক দ্রæত গাড়ি চালিয়ে চেকপোস্ট অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে চাইলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া দেয়। একপযাের্য় র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ করে তারা গুলি ছুড়তে থাকে। র‌্যাবও তখন আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও দুইজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।’ পরে আহত দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মেজর মেহেদী। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশে তৈরি বন্দুক এবং সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছেন র‌্যাব সদস্যরা। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মগের্ পাঠানো হয়েছে। এদিকে রাজধানীর খিলগঁাও বাজার এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে খিলগঁাও বাজারের কাছে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পূবর্) খন্দকার নুরুন্নবীর ভাষ্য। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা’ খিলগঁাও বাজার এলাকায় জড়ো হচ্ছে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে যায়। ‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা ?গুলি ছুড়লে একজন আহত হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়।’ আহত যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান নুরুন্নবী। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।