আ'লীগের কতজন মন্ত্রী-এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রশ্ন ফখরুলের

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের কতজন মন্ত্রী-এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'আজকে অনির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা অনেক বড় বড় কথা বলেন। তারা বিএনপিকে উপদেশ দেন। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, '৭১ সালে যুদ্ধের সময় আপনাদের কতজন বাংলাদেশে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তার হিসাব চাই আমরা।' রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজকে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন '৭৫-এর হত্যাকান্ডের পেছনে জিয়াউর রহমান ছিলেন। তিনি কোনো মুক্তিযুদ্ধ করেননি এমনটা বলতে চান। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেন না আওয়ামী লীগের অতীত কী ছিল আর জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কী ছিল। সেদিন আপনারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।' বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমি স্মরণ করে দিতে চাই, গণতন্ত্র বারবার কাদের হাতে নিহত হয়েছে। তাদের হাতে, যারা দাবি করেন স্বাধীনতার যুদ্ধের একমাত্র ধারক-বাহক ও অধিকারী; তারাই ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যখন দেশ শাসন করেছে একে একে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। দেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি।' জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী খুব খারাপ কথা বলেছেন উলেস্নখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি তা উচ্চারণ করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খন্দকার মোশতাক জিয়াউর রহমানকে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করে সুবিধা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তখন কোথায় ছিলেন? জানেন কী দেশের মানুষ তখন কী অবস্থার মধ্যে পড়েছিল। খন্দকার মোশতাক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মানুষ। তিনি এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা সেই সময় ষড়যন্ত্র করে তাকে সরিয়ে সরকার গঠন করেছিল। আমরা সেই কথা ভুলে যাইনি।' আওয়ামী লীগ বিভিন্ন আইন, মামলা, নির্যাতন করে বিএনপির মুখ বন্ধ করে দিতে চায় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, 'কিন্তু এই মুখ তো বন্ধ হওয়ার নয়। সত্য কথা সব সময় উচ্চারিত হবে এবং সত্যের জয় হবে।' নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এ দেশে আর কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না জানি না। এখন ৭-৮ শতাংশ ভোটারও ভোট দিতে যায় না। ' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রসঙ্গত, রোববার এক সভায় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুব ভালো। এ সম্পর্কে কোনও টানাপড়েন সৃষ্টি হোক, সেটা আমরা চাই না। এনআরসি'র বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। একটা সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন দেশ। তাদের সংসদে যেটা পাস হয়, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সেটা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে আমরা আলাপ আলোচনা করে সমাধান খুঁজে নেব। ভারতের সঙ্গে আমাদের বাইলেটারাল আলোচনার সুযোগ আছে।