ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চলবে ৩০ লঞ্চ

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

বরিশাল অফিস
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে ৩০টি নৌ-যান (ব্যক্তি মালিকানাধীন লঞ্চ) যাত্রীসেবা প্রদান করবে। অপরদিকে সরকারি জাহাজ ও স্টীমার সাভিের্স ৬টি নৌযান প্রস্তুত রেখেছে বিআইডবিøউটিসি। এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিগত সময়ের মতো নানা ধরনের পদক্ষেপও নিয়েছে বিআইডবিøউটিএ। তবে গামের্ন্ট সেক্টরে ছুটি একত্রে হলে গতবারের মতো হঠাৎ করে যাত্রীচাপ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হতে পারে নৌ-কতৃর্পক্ষকে। বরিশাল বিআইডবিøউটিএ ও নদী বন্দর কতৃর্পক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী ঈদুল আজহাকে ঘিরে ১৮ আগষ্ট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে ঘরমুখো মানুষ। সে লক্ষ্যে ১৮ তারিখ থেকেই স্পেশাল সাভিের্সর দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। তবে গামের্ন্ট সেক্টরের ছুটিকে কেন্দ্র করে ১৯, ২০ ও ২১ জুলাই এ রুটে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকবে। যার মধ্যে ২০ জুলাই চাপ সবচেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৩১ জুলাই বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ বেশি থাকবে। এরই মধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তায় বরিশাল নদীবন্দরকে ঘিরে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মধ্যে নদীবন্দর এলাকায় যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত যাত্রী ছাউনি নিমার্ণ, আচর্ওয়ে গেট বসানো, ঢাকামুখী নৌযানের বাদির্ং (পাকির্ং) প্লেস প্রসারিত করা, ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন করে ১৪ দিন বাল্কহেডসহ ঝুঁকিপূণর্ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, নদীতে ফায়ার সাভির্স, নৌ-পুলিশ ও বিআইডবিøউটিএ’র টহল নিশ্চিত করা। এ ছাড়াও মেরিন ক্যাডেট, স্কাউট, গালর্স গাইডের সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামাসহ সাবির্ক সহযোগিতা করবেন। থানা, নৌ-পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা বন্দর এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও অসুস্থসহ উদ্ধার কাজে ফায়ার সাভিের্সর সদস্যরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যানবাহনসহ বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এবারে বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিআইডবিøউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার। তিনি বলেন, ঈদের সময়ে লঞ্চে মালামাল পরিবহন অনেকটাই বন্ধ রাখা হয়। এ সময় লঞ্চগুলো মালামাল পরিবহন বন্ধ রেখে লোড-লাইনের ওপর ভিত্তি করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। সেক্ষেত্রে নিদির্ষ্ট লোড-লাইনের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে কোনো লঞ্চকেই সুযোগ দেয়া হবে না। ঘাটে বিআইডবিøউটিএ’র মনিটরিং ছাড়াও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে দুঘর্টনা রোধ করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিক, চালক ও বিশেষ করে যাত্রীদের নিজ থেকে সচেতন হওয়াটাও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান, নৌ-পথের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে বরিশালের আওতাধীন নৌ-রুটে বিকনবাতি-বয়াসহ সাবির্ক নিরাপত্তা সাইন চেক করা হয়েছে। সবগুলো ঠিক রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছ থেকে প্রতিবেদনও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি মাস্টারদের বিআইডবিøউটিএ’র নিয়ম মেনে লঞ্চ চালনা করতে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। এবারেও বরিশাল নদী বন্দরে একত্রে ২২টি লঞ্চ বাদির্ং-এর সুবিধা পাবে বলে জানান তিনি। এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কতৃর্পক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) চালকদের পাশাপাশি, মালিক ও যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ১৫টি সতকর্তা অবলম্বনের জন্য নিদের্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বরিশাল থেকে ঢাকা রুটে সরাসরি যাত্রীসেবা প্রদান করবে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১, ৯, কীতর্নখোলা-২, ১০, সুরভী-৭, ৮, ৯, সুন্দরবন-৮, ১০, ১১, পারাবত-৮, ৯, ১০, ১১, ১২, কালাম-১, দীপরাজ, ফারহান-৮, টিপু-৭, কালামখান-১, গ্রীন লাইন-২, ৩। এ ছাড়া ভায়া হিসেবে বরিশাল নদী বন্দর হয়ে আরও ৮টি লঞ্চ যাত্রীসেবা প্রদান করবে। অপরদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডবিøউটিসি’র জাহাজ বাঙালি ও মধুমতি ছাড়াও স্টীমার সাভিের্স পিএস মাহসুদ, লেপচা, অস্ট্রিচ, টাণর্ নামের ৬টি নৌযান থাকছে। যারা আগামী ১৬ আগষ্ট থেকে ২৮ আগষ্ট পযর্ন্ত ঈদ স্পেশাল সাভিের্স যাত্রীসেবা প্রদান করবে।