১৩ বছর পর বন্দরে এলো ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেন

দ্রæত ও নিরাপদে কনটেইনার লোড-আনলোডের জন্য চীন থেকে তিনটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ বা ‘কিউজিসি’ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে বিশেষায়িত জাহাজ ‘এমভি জাইং জিন চেং হাই ইয়ং’। এর মধ্য দিয়ে ১৩ বছর পর বন্দরে কিউজিসি যুক্ত হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৭টি কিউজিসি যুক্ত হবে বন্দরে। সবের্শষ বন্দরের সিসিটি ইয়াডের্র জন্য এ ধরনের চারটি ক্রেন আনা হয়েছিল ২০০৫ সালে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার চুক্তি সই করে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৪৫ কোটি টাকায় চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেড থেকে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মাধ্যমে এসব ক্রেন আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনটি কিউজিসি নিয়ে জাহাজটি সিসিটি জেটিতে ভিড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম। তিনি জানান, কিউজিসিগুলো অ্যাসেম্বল করতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। এরপর এগুলো দিয়ে এনসিটিতে অপারেশন শুরু করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ ধরনের আরও দুটি ক্রেন বন্দরে আসবে। ১৩ বছর পর বন্দরে এলো ৩টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কিউজিসি যুক্ত হওয়ায় খুশি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ। তিনি বলেন, বতর্মান সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে তিনটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। কয়েক মাসের মধ্যে আসবে আরও তিনটি। এরপর আসবে আরও চারটি। এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন কনটেইনার লোড-আনলোডে ব্যাপক গতি আনবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে পারবে। গত ৮ আগস্ট বিকালে সচিবালয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ ও চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ কিং নতুন চারটি ৪০ টন ধারণক্ষমতার কিউজিসি ক্রেন সংগ্রহের চুক্তি সই করেন। চারটি ক্রেনে ব্যয় হবে ২৩৮ কোটি ৬১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ৫টি জেটিসহ নিউমুরিং কনটেইনার টামির্নাল (এনসিটি) নিমাের্ণর কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে কাজ শেষ হয়। এনসিটি নিমাের্ণ বন্দরের খরচ হয় ৪৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এরপর নানা জটিলতায় এনসিটি চালু করা সম্ভব হয়নি। সবের্শষ ২০১৫ সালের অক্টোবরে এনসিটি চালু হয়। তবে কিউজিসি না থাকায় শুধু গিয়ার জাহাজই (ক্রেনযুক্ত) এ টামির্নালের পঁাচটি জেটিতে কনটেইনার লোড-আনলোড করতে পারত। কিউজিসি যুক্ত হওয়ার পর এখানে গিয়ারলেস (ক্রেন ছাড়া) জাহাজেও দ্রæততম সময়ে এবং নিরাপদে কনটেইনার লোড-আনলোড করা সম্ভব হবে।