আগামী বছর থেকে গ্রেডিং সিস্টেম, শিক্ষামন্ত্রীর ইঙ্গিত

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা তুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, বড় পাবলিক পরীক্ষাগুলো রেখে নিচের স্তরে পরীক্ষা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে। এ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে পুরো গ্রেডিং পদ্ধতি তুলে দিয়ে তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারি, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীরও কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের দিকে যাচ্ছি।' তিনি বলেন, এর সঙ্গে আগামী বছর থেকে জিপিএ-৪ কার্যকর করা হতে পারে। পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ২০২০ সাল থেকে এটি চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আগে একসময় চতুর্থ বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়ন ছাড়াই নম্বর দেয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এমন সুযোগ থাকছে না। ক্লাসে যে কাজ থাকে তা অবশ্যই শিক্ষার্থীকে সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষকদেরও তা ডিজিটাল পদ্ধতি মূল্যায়ন করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ৮০'র ওপরে পাসের হার কম নয়। ঢাকা বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। বর্তমানে অনেক কষ্ট, অনেক চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের পাস করতে হচ্ছে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের অনেক কষ্টের ফল এটি। বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে না দেখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন নিরানন্দময় করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অধিক চাপের মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ জীবনের মূল লক্ষ্য নয়। কিন্তু তার (শিক্ষার্থী) বন্ধুবান্ধব ও সমাজ তাকে এদিকে ধাবিত করছে। এটি আমাদের মাথা থেকে ফেলে দেয়া উচিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে শিখছে কিনা, তাদের প্রতিভা বিকাশ হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়গুলো এখন মুখ্য হওয়া উচিত। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও এসডিজি বাস্তবায়নে মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে শিক্ষা। আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশ, মেধা, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা বিকাশ হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।