বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীকে ফের দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃর্পক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কাযার্লয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পযর্ন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, বেবিচকের বিভিন্ন টেন্ডারে সিন্ডিকেট করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাযাের্দশ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীির্তর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পরিচালক মো. ফরিদুর রহমানকে দলনেতা ও সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানকে সদস্য করে দুই সদস্যের একটি দল গঠন করেছে সংস্থাটি। অনুসন্ধান দলের সদস্যরাই তঁাকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ আগস্ট সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে তলব করে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে গত ১২ জুন দুনীির্তর আরেক অভিযোগে তাকে পঁাচ ঘণ্টা দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরিচালক ফরিদুর রহমান ও দুই সহকারী পরিচালক আ. সালাম আলী মোল্লা ও খায়রুল হক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদক সূত্র জানায়, দুনীির্তর দুটি অভিযোগ নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে অনুসন্ধান করছেন সংস্থার দুই সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল হক ও মো. আ. সালাম আলী মোল্লা। সূত্র আরও জানায়, ৪ জুন আ. সালাম আলী মোল্লা ও খায়রুল হকের পাঠানো আলাদা আলাদা নোটিশে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীকে দুদকে তলব করা হয়। নোটিশে তাকে ১০ ও ১২ জুন সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কাযার্লয়ে হাজির হতে বলা হয়। ১০ জুন সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী দুদকে হাজির হননি। দুদক সূত্র জানায়, বেবিচকের চেয়ারম্যানের পাঠানো এক চিঠিতে প্রধান প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঈদের পর সময় দিতে অনুরোধ করা হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠকের কারণে তিনি দুদকে হাজির হতে পারছেন না। বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. খায়রুল হকের দেয়া নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, সিভিল অ্যাভিয়েশনের মেইনটেন্যান্স, কনস্ট্রাকশন, কেনাকাটা ও ফান্ড ম্যানেজমেন্টে সিভিল অ্যাভিয়েশন কতৃর্পক্ষের শত শত কোটি টাকার অনিয়ম, দুনীির্ত, আত্মসাৎ ও সংস্থার কমর্কতার্-কমর্চারীরা বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল অবৈধ সম্পদ অজর্ন করেছেন। এ বিষয়ে সুধেন্দু বিকাশকে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অথর্বছরে বেবিচকে কী কী প্রকল্পের কাজ হয়েছে, তার তালিকাসহ বিভিন্ন খাতের ব্যয়ের নথি এবং ২০১৬-১৭ অথর্বছরের সব ধরনের নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়। মো. আ. সালাম আলী মোল্লার দেয়া নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুনীির্তর অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বাথের্ বক্তব্য দেয়ার জন্য তাকে দুদকে আসতে বলা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অভিযোগ ছিল, নয়টি প্রতিষ্ঠান বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃর্পক্ষের প্রকৌশলীকে নিদির্ষ্ট হারে ঘুষ দিয়ে অনিয়ম ও দুনীির্তর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।