দারুল ইহসানের সাটিির্ফকেটের বৈধতা দিতে রাজি নয় ইউজিসি

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসানের সাটিির্ফকেটের বৈধতা দিতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আদালতের নিদের্শনা অনুসারে কমর্রত প্রতিষ্ঠান এ বিশ্ববিদ্যলয়ের সাটিির্ফকেট গ্রহণ বা বাতিল করতে পারবে উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে ইউজিসি। জানা গেছে, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ আউটার ক্যাম্পাস থেকে পাস করে বের হয়ে যাওয়া শিক্ষাথীের্দর সনদ বৈধ এবং তা সংরক্ষণের জন্য ইউজিসির কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিশ্ববিদ্যালয়-১) জিন্নাত রেহানা স্বাক্ষরিত ওই চিঠি গত ১৫ অক্টোবর ইউজিসিতে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, হাইকোটর্ ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই দায়ের করা রিট মামলায় (মামলা নম্বর ৩১৮৯/০৮) প্রদত্ত রায়ে ২৯ ক্যাম্পাস পরিচালনার বিষয়ে বৈধতা প্রদান এবং ২০১২ সালের ৩১ জুলাই এই ২৯ আউটার ক্যাম্পাস থেকে পাস করা শিক্ষাথীের্দর সাটিির্ফকেট বৈধ বলে রায় দেন। আদালতের রায়ের আলোকে পরিচালিত ২৯টি আউটার ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া শিক্ষাথীের্দর পূণার্ঙ্গ তালিকা ইউজিসিতে সংরক্ষণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দারুল ইহসানের ২৯ আউটার ক্যাম্পাস থেকে পাস করে যাওয়া শিক্ষাথীের্দর সনদ সরকার ও ইউজিসি কতৃর্ক স্বীকৃতি প্রদান ও তা ইউজিসিতে সংরক্ষণের জন্য সুস্পষ্ট মতামত প্রদানের জন্য ইউজিসিকে অনুরোধ করা হলো।’ এ চিঠির ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহে ইউজিসি থেকে মতামত পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, আদালতের নিদের্শনায় দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিির্ফকেট গ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিির্ফকেট গ্রহণ করতেও পারে, চাইলে নাও করতে পারে। এ বিষয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নেবে। আদালতের নিদের্শনার বাইরে এ বিষয়ে নতুন করে ইউজিসি মতামত দিতে পারে না বলে ইউজিসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বৃহস্পতিবার ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘দারুল ইহসানের কোন ক্যাম্পাসের সাটিির্ফকেট গ্রহণ হবে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এ বিষয়ে আদালতের রায়ে পরিষ্কার করে বলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মতামত চাইলে আমরা তাই জানিয়ে দিয়েছি।’ এর আগে ইউজিসি থেকে বলা হয়েছিল ২০০৬ সাল পযর্ন্ত দারুল ইহসানের সাটিির্ফকেট বৈধ বলে গণ্য হবে- এমন বিষয় উল্লেখ করলে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা দারুল ইহসানের মামলা শুরু করেছিলাম। রায়ের পর এমনটাই ভাবা হয়েছিল। এ কারণে আমি এমন বক্তব্য দিয়েছিলাম। কিন্তু রায়ে এ বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাযর্ক্রম বন্ধসহ সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। হাইকোটের্র এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাযর্ক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর দারুল ইহসানের সাটিির্ফকেট বৈধ করতে একটি মহল নানা মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিতে এ বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়।