পৌষের রোদ মেখে শুরু পৌষমেলা

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শনিবার বাংলা একাডেমিতে পৌষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা -ফোকাস বাংলা
মধ্য শীতে বৃষ্টিস্নাত দিন পেরিয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় রাজধানীতে শুরু হয়েছে পৌষমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিন দিনের এই মেলার আয়োজন করেছে পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ। আয়োজকরা বলছেন, নতুন প্রজন্মকে বাঙালির বিলুপ্তপ্রায় শীতকালীন পিঠাপুলির সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই মেলার আয়োজন। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত একাডেমি প্রাঙ্গণে পৌষমেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা শুরু হবে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টায়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের 'প্রার্থী' কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে 'আইলস্না' জ্বালিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। নগরে পৌষমেলায় আয়োজনে এসে শৈশবের পিঠা খাওয়ার দিনগুলোতে ফিরে যান ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিক। তিনি বলেন, 'আমাদের গ্রামে শীতকালে যখন পিঠা তৈরি হতো, তখন নিজ হাতে মা-চাচিদের সাথে বসে পিঠা বানাতাম, ঢেঁকিতে পাড় দিতাম। এখন এই বিষয়গুলো নগরে বেড়ে ওঠা শিশুরা ভুলতে বসেছে। এই পৌষমেলা সেই শেকড়ের সাথে তাদের কিছুটা হলেও পরিচয় করিয়ে দেবে বলে আমি আশা করছি।' পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ''দীর্ঘ একুশ বছর ধরে আমরা এই মেলার আয়োজন করে চলেছি আমাদের শেকড়কে ধারণ করার উদ্দেশ্যে। নগরে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যদিও বাংলায় কথা বলে, কিন্তু বাঙালিত্বকে ধারণ করা এত সহজ নয়। 'বাঙালি' একটি চেতনা, 'বাঙালি' একটি জীবনবোধ।'' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুলস্নাহ সিরাজী, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উলস্নাহ। মেলায় মোট ৫০টি স্টল সাজানো হয়েছে বিভিন্ন জেলার শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির পসরা নিয়ে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের বাহারি সব পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এখানে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম দিন থাকছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে আসা গীতিনৃত্য লখীন্দরের পালা, দ্বিতীয় দিন থাকছে টাঙ্গাইলের সংযাত্রার পালা এবং শেষ দিন মঞ্চস্থ হবে একটি যাত্রাপালা।