খালেদার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কিছু খাচ্ছে না: বোন সেলিমা

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বড় বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে মৃতু্যর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ মুহূর্তে তার যে ধরনের চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসা না হলে কেমন করে বাঁচবে সে? সেলিমা ইসলাম আরও বলেন, তার স্বাস্থ্যের আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। সে হাত সোজা করতে পারছে না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাঁটু অপারেশন করা হয়েছে। হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে। সে পা ফেলতে পারছে না। রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার বড় বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগে বিকেল ৩টায় তার স্বজনরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন। স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি, কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতি সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম, নাতনি আরিফা ইসলাম প্রমুখ। জামিনের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনদের \হকোনো কথা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, সেদিন তো জামিন দিল না, এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলেননি। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কিছু খাচ্ছে না এবং খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছে। ডাক্তার আজকে বোধহয় এসেছিল, তারা ওষুধ দিয়েছে কিন্তু সে ওষুধে কাজ হচ্ছে না। তার আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার। বেগম সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা তো পারমিশন পাই না, আজ এক মাস হলো অনেক বলার পর দেখা করার অনুমতি পেলাম। আমরা কাছে এলে তাও তো তার একটু ভালো লাগে; কিন্তু আমরা যে দেখতে আসব সেই পারমিশনটাও তারা দিচ্ছে না। এক-দেড় মাস হয়ে যায় কোনো পারমিশন দেয় না। উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে খালেদা জিয়া কোনো কিছু বলেছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে অসুস্থ, উন্নত চিকিৎসা তো সে চাইবেই। তার সুস্থ হওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরি। খালেদা জিয়া জনগণের উদ্দেশে কোনো মেসেজ দিয়েছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ম্যাডাম আপনাদের ও দেশের সব জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় নেতা ড. কাজী মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। কাঁদলেন কোকোর স্ত্রী-সন্তান এদিকে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কাঁদতে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও মেয়ে জাহিয়া রহমানকে। রোববার বিকেলে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খালেদার বড় বোন বেগম সেলিমা ইসলাম। এ সময় গাড়িতে বসে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় কোকোর স্ত্রী ও মেয়েকে। এর আগে বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন তার স্বজনরা। হাতে ছিল দুটি ফুলের তোড়া ও একটি ব্যাগ।