দীর্ঘ আট বছর বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে ফের শুরু হয়েছে বিমানের ঢাকা-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট। ২৬৯ যাত্রী নিয়ে বিজি ০০৭ ফ্লাইটটি এদিন ম্যানচেস্টারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে ম্যানচেস্টার ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। এ সময় মোনাজাতও করা হয়। মাহবুব আলী যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের বিদায় জানান।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিমান পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারসহ মন্ত্রণালয়, বিমান, সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবহরে সদ্য সংযোজিত বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার দিয়ে উদ্বোধন হয় ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুটের যাত্রা। সপ্তাহে তিন দিন রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে প্রায় ৯০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন। তাদের অনেক দিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট। এটি বিমানের ১৭তম রুট।
উড়োজাহাজ স্বল্পতার কারণে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিমানের এ রুট বন্ধ করে দেয়া হয়।
ম্যানচেস্টার রুটে চলাচল করা নতুন বোয়িং ৭৮৭-৯ এ সর্বমোট আসন সংখ্যা ২৯৮টি। এ উড়োজাহাজে ৩০টি বিজনেস ক্লাস, ২১টি প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস রয়েছে। বর্তমান বিমানবহর পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অত্যাধুনিক ও তারুণ্যদীপ্ত। বহরে রয়েছে ছয়টি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১৮টি উড়োজাহাজ। প্রতিটি উড়োজাহাজে রয়েছে উন্নত যাত্রীসেবাসম্বলিত সব সুযোগ-সুবিধা।
আশা করা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও ইউরোপগামী বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসু, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা বিমানবহরের আধুনিক এ উড়োজাহাজগুলোতে ভ্রমণে আকৃষ্ট হবেন। প্রবাসী যুক্তরাজ্যের বিপুলসংখ্যক অভিজাত যাত্রীও আকৃষ্ট হবেন। বহুল প্রতীক্ষিত নিউইয়র্ক ও টরন্টো রুটের হাব হিসেবে ম্যানচেস্টার ব্যবহৃত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তার বিভিন্ন সেবা নিয়ে নতুন বছর শুরু করেছে। এমনই একটি সেবা বিমানের মোবাইল অ্যাপ চালু। বিমানের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যাত্রীরা নিজের মোবাইল থেকেই কিনতে পারবেন বিমানের সব গন্তব্যের টিকিট। মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশ/রকেট/যেকোনো কার্ডের মাধ্যমে। গুগল পেস্ন-স্টোর অথবা আ্যাপল স্টোর থেকে যেকোনো স্মার্টফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত হতে বিমানের ফ্লাইট-সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে। এ অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা ফ্লাইটসম্পর্কিত সব তথ্য, ফ্লাইট স্ট্যাটাস, ফ্লাইট শিডিউল, সেলস সেন্টারসমূহের ঠিকানা, অনলাইন টিকিট ও রিফান্ড হেল্পডেক্স এবং টিকিট বুকিংসংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবেন।