বাড়ার পর কমছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কয়েকদিন দাম বাড়ার পর এবার কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। রোববার খাতুনগঞ্জের আড়তে মান ও আকার ভেদে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৪৫-১৫০ টাকা, চীনা ৬০ টাকা, পাকিস্তানি ১২০-১২৫ টাকা, তুরস্কের ৬০-৬৫ টাকা, নেদারল্যান্ডসের ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। কয়েকদিনে এসব পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। চট্টগ্রামের বাজারে দেশি পেঁয়াজের (মুড়ি কাটা) সরবরাহ নেই বললেই চলে। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুলস্নাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বৃষ্টির কারণে চাষিরা মাঠ পর্যায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে না পারা এবং মিয়ানমার থেকে আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। দুইদিন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছিল। তিনি জানান, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ চট্টগ্রামের বাজারে নেই বললেই চলে। এগুলো ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে বেশ। তবে রোববার ঢাকার বাজারেও সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমছে বলে খবর পেয়েছি। রোববার টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আসা মিয়ানমারের পেঁয়াজ বোঝাই ১২ ট্রাক খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। চীন ও তুরস্কের বড় পেঁয়াজ খুচরায় ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের পেঁয়াজগুলো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর থেকে মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিচিত্র সব পেঁয়াজ কিনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। যদিও গৃহিণীদের প্রথম পছন্দ ছোট আকারের দেশি কিংবা সুন্দর লাল পেঁয়াজগুলো। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, রোববার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন থেকে আসা ১৯১ টন, পাকিস্তানের ১৩৩ টন ও তুরস্কের ২৫ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এসব পেঁয়াজসহ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার ৪৬৩ টন পেঁয়াজ। আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৫ টন। তিনি জানান, শনিবার পর্যন্ত তুরস্ক থেকে ১৩ হাজার ১৯৭ টন, চীন থেকে ১২ হাজার ৯৮০ টন, মিসর থেকে ৯ হাজার ৭০০ টন, পাকিস্তান থেকে ২ হাজার ৮৪৯ টন, মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২২৮ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৬৯২ টন, শ্রীলংকা (পুনঃরপ্তানি) ৬১৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৭৫৭ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। এর বাইরে ট্রলারে করে প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে।