ঢাবিতে ছাত্রদলের সমাবেশের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০৪

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কলাভবনের তিনটি স্থানে রোববার বেলা ১১টা থেকে আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ককটেল ফাটানো হয়, যার দুটি বিস্ফোরিত হয় ছাত্রদলের কর্মসূচি চলার সময়। গত ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কয়েক গজ দূরে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। সমাবেশে তখন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কলা ভবনের ডিন কার্যালয়ের গেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজে সমাবেশে আসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এদিক-সেদিক ছুটতে থাকেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলের সময় ডাকসু ভবন ও কলা ভবনের মাঝের জায়গায় আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, লাল জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তি দুটি হাতবোমা ফাটিয়ে দ্রম্নত মিছিলের দিকে চলে যান। কয়েকজন ধাওয়া করলেও তাকে ধরা যায়নি। তবে ককটেল বিস্ফোরণে কর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, 'আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ছাত্রদল ককটেল বিস্ফোরণ করাবে, প্রশ্নই ওঠে না।' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, 'আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে ক্যাম্পাসে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত থাকে।' বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কর্মসূচি পালনের সময় আরও সতর্ক হতে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে কয়েক দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই দিন ছোট একটি বিস্ফোরণের পর মধুর ক্যানটিন ও আইবিএ ভবনের গেটের মাঝামাঝি জায়গায় একটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ককটেলটির নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটায়। এর তিন দিন পর ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মধুর ক্যানটিনের সামনে তিনটি এবং বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ডাকসু ভবনের পাশে ককটেল ফাটানো হয়। পরদিন ফের মধুর ক্যানটিনের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হলে হৃদয় নামের এক ক্যানটিনবয়ের কোমরে স্পিস্নন্টার লাগে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের কোনো কারণ উদঘাটন করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক সংগঠনগুলো এজন্য পরস্পরের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করছে।