নাটোরে বাঁশঝাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

নাটোর প্রতিনিধি
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে নাটোরে আবারও ঘটল আরও একটি হত্যাকান্ড। নিখোঁজের একদিন পর রবিবার রাত ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার আওরাইল নবীন কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুল ইসলাম জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কামরুল ইসলাম জাহিদ ওই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ও নাটোর শহরের চকরামপুর এলাকার রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি শনিবার সদর উপজেলার পাইকৈড়দোল গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে হাসান আলী (১০) নামে এক শিশুর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কে বা কারা কল করে। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফিরে আসেনি। রাতে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা রাতে তাকে বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশের নিকট আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। পরদিন রাতে স্থানীয়রা নবীন কৃষ্ণপুর গ্রামের বাঁশঝাড়ের জঙ্গলে একটি মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ জানায়, নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করে কাদের সঙ্গে কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং তার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা একটা হত্যাকান্ড। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাৎ জানান, দুটি হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত নেমেছে। দ্রম্নত এ দুটি হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুল ইসলাম জাহিদের হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।