কুড়িগ্রামে নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ নতুন বাজার পাহারার কাজে নিয়োজিত নৈশপ্রহরী এরশাদুল হককে (৫৫) হত্যা করে তিনটি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি চালিয়ে ২৫ লাখ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যায় ডাকাতরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার গভীর রাতে। এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে জোড়গাছ নতুন বাজারের মকবুলের চায়ের দোকানের বারান্দায় ওই বাজারের নৈশপ্রহরী এরশাদুল হকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন নামাজিরা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থল থেকে এরশাদুলের মরদেহ উদ্ধার করে চিলমারী থানা পুলিশ। জোড়গাছ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মুকুল জানান, পরিকল্পিতভাবে বাজারে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আনুমানিক রাত ৩-৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। নৈশপ্রহরী এরশাদুল হককে বাজারের মকবুলের চায়ের দোকানের সামনে একটি বাঁশের মধ্যে দুই হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরশাদুল হক রমনা ইউনিয়নের ভরট্টপাড়া এলাকার মৃত মহিজল হকের ছেলে। এরশাদুল প্রায় ১০ বছর ধরে ঐ বাজারে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ডাকাতরা বাজারের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মেসার্স নজির অ্যান্ড সন্স, ফারুক স্টোর ও লাবু বুক স্টোরের সার্টারের তালা কেটে ভেতরের লোহার সিন্ধুক ভেঙে ১৭ লাখ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যায়। নজির অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী মাইদুল ইসলাম জানায়, তার দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে ডাকাতরা ১৬ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এ সময় তারা সিসি ক্যামেরা ভেঙে নিয়ে যায়। অপর ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, তার দোকান থেকে দেড় লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, তদন্তকার্যক্রম চলছে। দোষীদের খুঁজে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডবিস্নউ এম রায়হান শাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।