নির্বাচনের আগে অপ্রয়োজনীয় গ্রেপ্তার নয়: সিইসি

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০৭

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে সিটি এলাকায় কোনো অপ্রয়োজনীয় গ্রেপ্তার হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। সোমবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে এলে তাদের এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান সিইসি। সিইসি বলেন, 'বিএনপি পুলিশি হয়রানি, প্রার্থীদের ভয়ভীতি, হামলার অভিযোগ করেছে। আমরা বলেছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বসে তাদের কঠোর নির্দেশনা দেব যেন নির্বাচনের সময় কোনো অপ্রয়োজনীয় হয়রানি না করে'। তিনি আরও জানান, 'এর অর্থ এই নয় কেউ ক্রিমিনাল অফেন্স করল বা আদালত কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল তাকে নির্বাচনী দোহাই দিয়ে গ্রেপ্তার করা যাবে না। আর কোনটি প্রয়োজনীয় কোনটি অপ্রয়োজনীয় তা নিয়ে কমিশন পুলিশের সঙ্গে বসবে। সচিব সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও আলাদাভাবে কথা বলব। আমার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়েছে, তারা কখনো নির্বাচন নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না।' এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের একই কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের অভিযান চালানো হয়। ভয়ভীতি দেখানো হয়, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েছে সেই অভিযান আর হবে না। দৃশ্যমান কোনো ঘটনা না ঘটলে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রেপ্তার বন্ধ থাকবে। বিএনপিকে আশ্বস্ত করার বিষয়ে সিইসি বলেন, 'ইভিএম নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমরা বলেছি যে, ইভিএমে ভোট হলে যার ভোট তিনিই দিতে পারবেন। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবেন না। একবারের বেশি একজন ভোট দিতে পারবেন না। এতে আলাদা কোনো প্রোগ্রামিং নেই। কোনো ভোট কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই।' ইভিএমের মাধ্যমে নীরবে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, 'নীরবে কারচুপি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদের বুঝিয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, অনেকগুলো নির্বাচন করেছি। এর মধ্যে সংসদ নির্বাচন করেছি। সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছি। সেখানে কারচুপির অভিযোগ আসেনি। ভোটারদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল না। প্রার্থী যারা জয়ী হয়েছেন, তারাও কোনো অভিযোগ করেননি।'