চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাক নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে না : চেয়ারম্যান

প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ
চট্টগ্রাম অফিস 'চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাক নিয়ে সবার নানা আপত্তি আছে; কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি, আপনারা লিখে রাখতে পারেন; ২০২৫ সালে কেউ বন্দরের ট্রাক শহরে দেখবে না। বন্দরের ট্রাক নিয়ে শহরের কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না'- বলেছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করেই চট্টগ্রামের পরিচয় হলো বন্দর নগরী। তাই এখানে ট্রাক আসবেই। চট্টগ্রাম পোর্টের সঙ্গে বে-টার্মিনালের একটা সংযোগ সড়ক নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। এ সংযোগ সড়ক হওয়ার কারণে পোর্টের সব ট্রাক চলে যাবে বে-টার্মিনালে। বে-টার্মিনালে ৮ হাজার ট্রাকের একটি ট্রাক টার্মিনাল করা হবে। সেখান থেকে ট্রাকগুলো সরাসরি দেশের সব জেলায় চলে যাওয়ার জন্য আলাদা রোড হবে। ফলে ট্রাকগুলো আর পোর্টেও ঠুকবে না। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি- ২০২৫ সালে নগরীতে কেউ আর ট্রাক দেখবে না।' জানা গেছে, এলিভেটর এক্সপ্রেস ওয়ে'তে ট্রাক চলাচলের রাস্তা যেন ছোট না হয়, তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেস ওয়ে নিয়ে একটি লে-আউট তৈরি করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এলিভেটর এক্সপ্রেস ওয়ের রাস্তার নকশা ও তার বাস্তবায়ন করলে নগরীর সড়ক দুর্ভোগ কমে যাবে বলে আশা করে চট্টগ্রাম বন্দর। সম্মেলনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত বলে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দরের প্রচুর ক্যাপাসিটি আছে। যদি ট্রান্সশিপমেন্টের জাহাজ আসে সেই জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে পারব। প্রায়োরিটি বার্থিংয়ের বিষয়টি দুই সরকারের চুক্তির ধারার ওপর নির্ভর করবে। সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর জানুয়ারিতে দুটি ট্রায়াল করবে কলকাতা বন্দরের সঙ্গে। তবে নিয়মিত ট্রান্সশিপমেন্ট নির্ভর করবে ব্যবসায়ীরা কখন কার্গো দিতে পারছে তার ওপর। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ আদায় করবে চট্টগ্রাম বন্দর। কী পরিমাণ পণ্য আনা-নেওয়া হবে সেটি এখন বলা সম্ভব নয়।' এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বন্দরের দায়িত্ব হচ্ছে পণ্য নিয়ে জাহাজ এলে হ্যান্ডলিং করা। ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য একটি নির্দিষ্ট ইয়ার্ডে বা টার্মিনালে থাকবে। এরপর ট্রাকে ওই কার্গো নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সাধারণ কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ টন। প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের এ সংখ্যা বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপণকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজার কনটেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে।