যাযাদি রিপোর্ট
ক্যাসিনো কারবারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে মারুফ সাংবাদিকদের বলেন, 'দুদকের কর্মকর্তাবৃন্দ কিছু তথ্যের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন। ওনাদের সাথে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি বলেছি, আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আমার আর কিছু বলার নেই। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।'
এর আগে বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন মারুফ। স্বজনসহ বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নিয়ে সাদা রঙের প্রাইভেটকারে করে আসেন তিনি। তাকে নির্ধারিত খাতায় নাম ও স্বাক্ষরসহ বিস্তারিত লিখতে দেন দুদক কর্মীরা।
পরে মারুফকে কিছুক্ষণ অপেক্ষাকক্ষে রেখে তিন তলায় দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের রুমে নেওয়া হয়। তার সঙ্গীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা দুদকের প্রধান গেটের সামনে অপেক্ষা করেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে শেখ মারুফকে তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়।
ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য শুনতে তাকে তলব করা হয়।
