নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো আধুনিক দুই যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য গণচীনে নির্মিত যুদ্ধজাহাজ 'ওমর ফারুক' ও 'আবু উবাইদাহ' মোংলা নেভাল জেটিতে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ দুটি মোংলা নেভাল জেটিতে এসে পৌঁছায়। এ সময় খুলনা নৌ-অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহাজ দুটিকে স্বাগত জানান। জাহাজ দুটির আগমন উপলক্ষে নেভাল জেটিতে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আধুনিক এ যুদ্ধজাহাজ দুটির প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ১১২ মিটার এবং প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার, যা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। প্রতিটি জাহাজ বিভিন্ন আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামে সুসজ্জিত। জাহাজ দুটিতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদি। সার্বিকভাবে শত্রম্নবিমান, জাহাজ ও স্থাপনায় আঘাত হানার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে এ দুটি জাহাজের। এছাড়া হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ জাহাজে সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সন্ত্রাস ও জলদসু্য দমন এবং চোরাচালানবিরোধী নানাবিধ অপারেশন পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে। জাহাজ দুটি দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা, অবৈধ মৎস্য নিধন, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধ, জলদসু্যতা দমন, জেলেদের নিরাপত্তা বিধানসহ বর্তমান সরকারের বস্নু-ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন এ যুদ্ধজাহাজ দুটি নৌবহরে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে বলে আশা করা যায়। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সাংহাইয়ের সেনজিয়া শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধজাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর জাহাজ দুটি গণচীনের সাংহাই বন্দর হতে যাত্রা শুরু করে 'জানজিয়াং' বন্দর ও মালয়েশিয়ার 'ক্লাং' বন্দর হয়ে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।