চায়ের রেকর্ড উৎপাদন

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চা বাগানে কুঁড়ি সংগ্রহ করছেন শ্রমিকরা
চা শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে উৎপাদন মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ চায়ের উৎপাদন হয়েছে। গত বছর ৯৫ মিলিয়ন (সাড়ে ৯ কোটি বা ১ লাখ ৪৭১৯ টন) কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ৮ কোটি কেজি। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, অনুকূল আবহাওয়া, পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকা, খরার কবলে না পড়ায় চায়ের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, 'চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৯ কোটি কেজির বেশি চা পাতা উৎপাদিত হয়েছে। যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১ কোটি ৪০ লাখ (১৪ মিলিয়ন) কেজি বেশি চা পাতার উৎপাদন হয়েছে।' বিটিবি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ ৮ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার (৮২.১৩ মিলিয়ন) কেজি। যা দেশের চা উৎপাদন মৌসুমের (২০১৮) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৮ কোটি ৫৫ লাখ (৮৫. ৫ মিলিয়ন) কেজি চা পাতা উৎপদিত হয়েছিল। বিটিবি উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ বলেন, 'গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন ছিল ৯৫ মিলিয়ন কেজির ওপরে। এটিই চা উৎপাদনে রেকর্ড। চা উৎপাদনে সাফল্যের পেছনে সরকারের নানামুখী দিক নির্দেশনাগুলো সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ঠিকমতো তদারকি, ফ্যাক্টরি থেকে চা পাতা যাতে লিকেজ হতে না পারে এবং নিলামের বাইরে যাতে বেআইনিভাবে কোথাও বিক্রি না হয় সেদিকে কড়া নজরদারি ছিল। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪০ মিলিয়নে উন্নীত করতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।' বিদেশি কোম্পানি, সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট-বড় মিলিয়ে বাংলাদেশে ১৬২টি চা বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৯২টি চা বাগান মৌলভীবাজারে। শ্রীমঙ্গল জেমস ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের ডিজিএম ও বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, 'চায়ের উৎপাদন ভালো হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। ভারত থেকে নিম্নমানের চা চোরাই পথে বাংলাদেশে আসছে। যা অত্যন্ত নিম্নমানের খাওয়ার যোগ্য নয়। এতে বাজারে চায়ের কোয়ালিটি খারাপ করছে। এতে চা মালিকরা মূল্য ঠিকমত পাচ্ছেন না।'