৪ কোটি পরিবারের কাছে যাবে হাসিনার লেখা শুভেচ্ছা বাণী

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৩৪

যাযাদি ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে বিস্তৃত নয় হাজার ৮৮৬টি ডাকঘরের মাধ্যমে চার কোটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতের লেখা শুভেচ্ছা বাণী সংবলিত পোস্টকার্ড পাঠাবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। শুক্রবার ঢাকায় জিপিওতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনায় ডাক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দুটি ডিজিটাল ডিসপেস্ন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী ডিজিটাল বোতাম টিপে সংস্থাগুলোর ক্ষণগণনার ডিজিটাল ডিসপেস্নর উদ্বোধন করেন। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক বিভাগে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক স্ট্যাম্পগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত ডাকটিকিট হবে। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের কালানুক্রম অনুসরণ করে একশ ছবি আর্টওয়ার্কে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এই উপলক্ষে গোল্ড ফয়েল যুক্ত পোস্টকার্ডও প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে গিয়েছি, দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু যার অঙ্গুলি হেলনে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সেই বিজয়ের দিনও তিনি পাকিস্তানের কারাগারে মৃতু্যর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলেন। ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরলেন কিন্তু পরিবারের কাছে না গিয়ে এলেন রেসকোর্স ময়দানে জনতার কাছে। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট, ৫৭ সালের ঐতিহাসিক কাগমারি সম্মেলন, ৬২'র ভাষা আন্দোলন, ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯'র গণঅভু্যত্থান ৭০'র নির্বাচনে তার আপসহীন তেজস্বী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে আরও ২০ বছর আগে বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হতো উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা আজ তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের ফলে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। বিশ্বের যে পাঁচটি দেশের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে পথ দেখাচ্ছেন, যার যার অবস্থান থেকে আমরা যদি সঠিকভাবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি তবে ডাক বিভাগ, টেলিটক, টেশিস, বিটিসিএল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন প্রতিটি সংস্থার বৈপস্নবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গত দুই বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা দেশকে দেবো, দেশ আমাদের দেবে। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিয়ুর রহমান, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিনসহ অধীনস্থ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার জাতীয় কর্মসূচির উদ্বোধনের পরবর্তী সময়ে টঙ্গীতে টেলিফোন শিল্পসংস্থা কার্যালয়, গুলশানে টেলিটক সদর দপ্তর এবং ঢাকার পরিবাগে বিটিসিএল সদর দপ্তরে আলাদা আলাদাভাবে স্থাপিত ক্ষণগণনার ডিজিটাল ডিসপেস্ন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।