ভিসিরা দুর্নীতি করলে অবস্থা কী হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠায় তাদের সচেতন হতে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ভাষণে এই প্রসঙ্গটি তোলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, 'উপাচার্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনারা নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দেখবেন।' পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার আইন মেনে চলতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, এক শ্রেণির শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তারা সান্ধ্যকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে সপ্তাহব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করেন। এ সমস্ত কাজে তারা খুবই আন্তরিক। যত অনীহা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে। তবে এই শিক্ষকরা সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে খুবই সিরিয়াস। তাই তারা এক সঙ্গে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস নেন। অনেক সময় ছুটির দিনে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে এনে কয়েক ঘণ্টা ক্লাস নেন। শিক্ষার্থীরা কতটুকু বুঝল বা মাথায় নিতে পারল, সে ব্যাপারে তাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই বলে মনে হয়। সেমিস্টার ও সিলেবাস শেষ করেছেন, এই সাফল্যে তারা গর্ববোধ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি জীবনে অনেক পরীক্ষায় ফেল করেও কখনো পাস করার জন্য নকলের মতো অনৈতিক পথ অবলম্বন করেননি। এমনকি আশপাশের কাউকে জিজ্ঞাসাও করেননি। এটা তার জীবনের অহঙ্কার এবং এটা নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, কিন্তু আজ শুনি শিক্ষকরা ছাত্রদের কাছে নকল সাপস্নাই করে। অনেক জায়গায় শোনা যায় অভিভাবকরা নকল সাপস্নাই করে। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। তাদের কী শাস্তি হতে পারে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। পরীক্সায় নকলপ্রবণতা ও অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের কারণে দেশ ও জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সমাবর্তন বক্তা এমিরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান ও ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।