চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ, রাত পোহালেই ভোট

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজু দে, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে পালটাপালটি অভিযোগের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার মধ্য রাতে শেষ হলো প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। রাত পোহালেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সোমবার এ আসনের ১৭০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৩ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামেন প্রার্থীরা। তারা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন কাড়তে নানা প্রতিশ্রম্নতি প্রদান করেন। এরই মাঝে ছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় বাধা, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া, হামলা ও অগ্নিসংযোগের পালটাপালটি অভিযোগ। পালটাপালটি অভিযোগে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরগম হয়ে ওঠে কুর্ণফুলীর দুই পাড়ের জনপদ। গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলার আমতল এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোয়ালখালী বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ আসনের সিটি করপোরেশনের ৩-৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর) আসনের উপনির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক। এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। তিনি জানান, গতকাল শনিবার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে (১৭০টি) মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে মনের ভয় কিংবা সংশয় দূর করার জন্য এই মক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রোববার প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পৌঁছবে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর দুইজন করে সদস্য কারিগরি সহযোগিতার জন্য থাকবে বলে জানান জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। একটি অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১১ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ৫ পস্নাটুন বিজিবি, ৬ পস্নাটুনর্ যাব ও ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিজিবির সঙ্গে মোবাইল টিমে থাকবেন বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান। জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে শতভাগ ইভিএম'এ ভোট গ্রহণের জন্য আড়াই হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্রস্তুত রয়েছে। ১৭০টি কেন্দ্রের ১১৯৬টি কক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে ১২শ ইভিএম চলে এসেছে। এই আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার জন ভোটার।