পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে তলব

ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা হাইকোর্টের

পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা প্রকল্পে কীভাবে ব্যয় করেছে, এতে জনগণ কী ধরনের সুফল পাচ্ছে তা ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজধানীর মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং মার্কেট ও দোকান বন্ধের পর ওই বর্জ্য সিটি করপোরেশনকে অপসারণ করাসহ ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বায়ুদূষণ রোধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রম্নয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধ সংক্রান্ত মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন সাইদ আহমেদ রাজা। বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা হচ্ছে ১. ঢাকা শহরের মধ্যে যেসব ট্রাক বা অন্যান্য যানবাহনে বালু বা মাটি পরিবহণ করা হয়, সেগুলো ঢাকনাযুক্ত করতে হবে। ২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলে সেসব জায়গায় ঢেকে দিয়ে কাজ করতে হবে। ৩. ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে। ৫. সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরানো হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। ৬. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধের নির্দেশ। ৮. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং মার্কেট ও দোকান বন্ধের পর ওই বর্জ্য সিটি করপোরেশনকে অপসারণ করার নির্দেশ। আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, নির্মল বায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকার যে প্রকল্প ছিল সেটি পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে ব্যয় করেছে, পরিবেশ উন্নয়নে কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে, এতে জনগণ কী ধরনের সুফল পাচ্ছে অর্থাৎ পুরো প্রকল্পের টাকা কীভাবে ব্যয় হয়েছে তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে তলব করেছেন আদালত। ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে গত বছরের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। এই রিটের ধারাবাহিকতায় সোমবার এসব নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।