১৩৮ কোটি টাকার প্রথম কিস্তি দিল রবি

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার নিরীক্ষা দাবির মধ্যে থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩৮ কোটি টাকার প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান জানান, পাঁচ কিস্তির মধ্যে রবি প্রথম কিস্তির ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা মঙ্গলবার বিটিআরসিতে জমা দিয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি বিটিআরসির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার নিরীক্ষা দাবির মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা কিস্তিতে পাঁচ মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এ বিষয়ে অপারেটর রবির তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আদেশের পর বিটিআরসির আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এর আগে গ্রামীণফোনের ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা অবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আনুপাতিক হিসাব করে রবিকে ১৩৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। গত বছরের ৩১ জুলাই গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে চিঠি দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিস পাঠানো হয় দুই অপারেটরকে। কিন্তু বিটিআরসির দাবি করা টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে বরাবরই আপত্তি জানিয়েছে দুই অপারেটর। সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে বিটিআরসি রাজি না হওয়ায় দুই কোম্পানি আদালতের দ্বারস্থ হয়। বিটিআরসির দেওয়া ওই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে টাইটেল সু্যট (মামলা) করে রবি। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়। কিন্তু নিম্ন আদালত রবির অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিলে হাইকোর্টে আপিল করে রবি। সেই আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট গত ২৫ নভেম্বর রুল জারি করে। রবির কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বিটিআরসিকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই রুলের ওপর আদেশ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু তা পিছিয়ে আদালতে আসে ৫ জানুয়ারি। ওই দিন রুলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে হাইকোর্ট গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের নির্দেশনার আদলে আদেশ দেয়। গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির নোটিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ২৪ নভেম্বর তা বহাল রেখেই আপিল বিভাগ অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এরপর রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠায় গ্রামীণফোনের মালিক কোম্পানি টেলিনর।